04.Arduino-র শারীরবিদ্যা Board Discription
Arduino-র শারীরবিদ্যা
Board Discription
এই টিউটোরিয়ালে আমরা আরডুইনোর বিভিন্ন কম্পোনেন্ট আর পিন মানে আরডুইনোর দেহের অঙ্গ প্রত্যঙ্গ সম্পর্কে জানব।
আরডুইনো বলতে আসলে আমরা আপাতত আরডুইনো
উনোকে(Arduino UNO) বুঝব। এখন দ্রুত তোমার প্রিয় আরডুইনোটা হাতে নাও। এবং ছবির
সাথে মিলানোর চেষ্টা করো।
*০১.
|
Power USB:
এই ইউএসবি পোর্ট দ্বারা দুইটা কাজ করা হয়।
এক- এটা দিয়ে কম্পিউটারের সাথে আরডুইনোর সংযোগ করা হয়। এই পোর্টের সাহায্যে কম্পিউটার বা ফোন থেকে কোড আপলোড দেয়া হয়।
দুই- এই পোর্ট দিয়ে 5v এর বিদ্যুৎ সাপ্লাই দেয়া
হয়। তবে খেয়াল রাখতে হবে কোনভাবেই যেন 5v এর
বেশি হয়ে না যায়।
|
*০২.
|
Power(Barrel Jack):
এটা হচ্ছে এক্সটারনাল পাওয়ার সাপ্লাই।এটা দিয়ে
তুমি ৭ থেকে ১২ ভোল্ট বিদ্যুৎ সাপ্লাই করতে পারবে। বাজারে
১২ ভোল্টের যে ব্যাটারি পাওয়া যায় তা দিয়ে এই পোর্টের মাধ্যেমে পাওয়ার সাপ্লাই করতে
পারবে সুন্দরভাবে।
|
০৩.
|
Voltage Regulator:
এটা আরডুইনোতে প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ সাপ্লাই করে। ভোল্টেজ
স্থির রাখা এর কাজ।
|
০৪.
|
Crystal Oscillator:
যদি প্রশ্ন করা
হয় আরডুইনো কিভাবে টাইম ক্যাল্কুলেট করে?? উত্তর হচ্ছে এই ক্রিস্টাল
অসিলেটরের মাধ্যমে। এই ক্রিস্টালের উপরে দেখো একটা সংখ্যা লেখা আছে। এটা ক্রিস্টালের
ফ্রিকুয়েন্সি নির্দেশ করে।
|
*০৫+১৭.
|
Arduino Reset:
মনে করো, তোমার তৈরি প্রজেক্ট আবার প্রথম থেকে চালেতে
হবে। কি করবে তুমি?? পাওয়ার খুলে আবার লাগাবে?? হ্যা… এভাবে করা যায়। তবে এর
থেকে সহজ হচ্ছে Reset(১৭) পুশবাটনে ছোট্ট
একটা চাপ দাও। নিমিষেই রিসেট হয়ে যাবে। আর Reset(০৫) পিনে
একটা বাটন লাগিয়েও রিসেট করতে পারো তুমি।
|
*০৬-০৮.
|
Pins(3.3,5,GND):
০৭ নাম্বার পিন দিয়ে তুমি কোন কম্পোনেন্টে ৫ ভোল্ট বিদ্যুৎ পাঠাতে পারবে। মনে রাখবে
এটা কিন্তু ধনাত্বক প্রান্ত। আর যে সব কম্পোনেন্টে কম ভোল্টেজ বিদ্যুৎ দরকার সেসব কম্পোনেন্টে
৩.৩ ভোল্ট পিন(০৬) থেকে
কানেকশন দেয়া হয়। এরাও কিন্তু ধনাত্বক প্রান্ত।
আচ্ছা তাহলে ঋণাত্বক প্রান্ত কোনটা?? হ্যা , ঠিক ধরেছ। GND পিন(০৮) হচ্চে ঋণাত্বক প্রান্ত। আরডুইনো
উনোতে তুমই তিনটা GND পিন দেখতে পাবে। তিনটাই
সেম কাজ করে।
|
*০৯.
|
VIN pin:
এটাও একটা আরডুইনোতে পাওয়ার সাপ্লাই পিন। এটা দিয়ে
৭-১২ ভোল্ট বিদ্যুৎ সাপ্লাই করাতে পারবে তুমি।
|
*১০.
|
Analog pins:
আরডুইনোতে A0 থেকে A5 পর্যন্ত পাঁচটা অ্যানালগ পিন পাবে তুমি। এগুলা
বিভিন্ন সেন্সর থেকে অ্যানালগ ডেটা গ্রহন করে এবং ডিজিটাল ডেটায় পরিণত করে। আচ্ছা
এখন প্রশ্ন হচ্ছে অ্যানালগ ডেটা আর ডিজিটাল ডেটা কী?? পরের কোন এক টিউটোরিয়ালে বুঝিয়ে দিব বিষয়টা ।
|
১১.
|
Main microcontroller:
এবার আমরা আরডুইনোর ব্রেইন নিয়ে কথা বলব। প্রত্যেক
আরডুইনোতে একটা মাইক্রোকন্ট্রোলার থাকেই। এটি মুলত একটা শক্তিশালী IC । এই IC গুলো সাধারণত ATMEL কোম্পনীর হয়। Arduino UNO তে ATMEGA328P নামক IC ব্যবহার করা
হয়েছে।
|
১২.
|
ICSP pin:
এটা MOSI, MISO, SCK, RESET, VCC এবং GND পিন নিয়ে গঠিত।এটা সম্পর্কে
বেসিক লেভেলে না জানলেও চলবে।
|
১৩.
|
Power LED indicator:
কোন পাওয়ার সোর্সের সাথে কানেক্ট করলে এই LED জ্বলে উঠবে। পাওয়ার দেয়ার পরও যদি এই LED না জ্বলে তবে বুঝতে হবে সার্কিটে কোন ভূল আছে।
|
*১৪.
|
RX and TX LEDs:
পাশাপাশি দুইটা LED পাবে RX(Receive) এবং TX(Transmit)
লেবেলযুক্ত। আবার ডিজিটাল পিন ১ ও ২ এও RX, TX লেখা থাকে। TX জ্বলে যখন আরডুইনো থেকে সিরিয়াল ডেটা কম্পিউটারে পাঠানো হয়। আর আরডুইনোতে যখন ডেটা পাঠান হয় তখন RX জ্বলে।
[সিরিয়াল ডেটা সম্পর্কে সামনে জানতে পারবে।]
|
*১৫.
|
Digital I/O:
আরডুইনো বোর্ডে ১৪ টা ডিজিটাল ইনপুট আউটপুট পিন আছে।
এর মধ্যে দেখো ০ আর ১ এ যথাক্রমে RX, TX লেখা আছে। এই দুই পিন দিয়ে
অন্য ডিভাইসে ডেটা আদানপ্রদান করা হয়।
কিছু পিনে দেখো ~ চিহ্ন আছে। এগুলো হচ্ছে PWM Pin(Pulse Width Modulation Pin) ।
ডিজিটাল পিনগুলো ডিজিটাল ইনপুট বা আউটপুট করার
কাজে ব্যবহৃত হতে পারে।
|
১৬.
|
AREF:
এর পুর্ণরূপ Analog Reference। অ্যানালগ ইনপুট পিনের আপার লিমিট সেট করার জন্য এই রেফারেন্স পিন ব্যবহার
করা হয়।
|
কিছু বোর্ড উপরের ছবির সাথে সম্পুর্ণটা না ও মিলতে পারে। তবে বেশির
ভাগ আরডুইনো উনোতে এই কম্পনেন্টগুলো থাকে।
*চাইলে আরেকবার স্টার দেয়াগুলা পড়ে আসতে পারো।প্রায় প্রত্যেকটা
প্রজেক্টেই প্রায় লাগবে এইগুলা। আর বাকি গুলা ভুলে গেলেও কোন প্রকার ক্ষতি হবে না।
<Previous Tutorial Next Tutorial>